যে নিয়ম মানলে ত্বকের তারুণ্য থাকবে দীর্ঘদিন

ত্বকের সুস্থতা ও সৌন্দর্য নির্ভর করে রাত্রিকালীন ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্নের উপর। অনেকেই রাতে ঘুমনোর আগে চেষ্টা করেন ত্বকের যত্ন নিতে। প্রতিদিনের অভ্যাসের দাঁত মেজে এবং ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমনোর অভ্যাস থেকেই কমবয়সেই বুড়োভাব চলে আসে। কয়েকটি বদভ্যাস বদলালেই ফিরে আসবে ত্বকের তারুণ্যে।

বদভ্যাস না বদলালে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। রাতে ঘুমনোর সময়ে যেভাবে ঘুমান তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এই বদভ্যাস না বদলালে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তার আগেই সাবধান হন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

রাতে ঘুমানোর আগে মেকআপ তোলেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন তোলার সময় তুলা দিয়ে খুব জোরে ঘষাঘষি যাতে না হয়। এর ফলে অ্যাকনে বা ব্রণের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

অয়েল বেসড ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে মেকআপ তুলতে হবে। হয়ে গেলে কোনও হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। যদি মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মেকআপ তোলেন, তা হলে তুলাটা মাইসেলার ওয়াটারে ডুবিয়ে কয়েক সেকেন্ড মুখের একেকটা অংশে (চোখ, ঠোঁট-গাল— যেখানে মেকআপ বেশি) ধরে থাকতে হবে। তারপর মুছে ফেলতে হবে একবারেই।

মুখ না ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়া একটি বদঅভ্যাস। অনেকে মেকআপ রিমুভার দিয়ে মেকআপ তুলেই ভাবেন সব কাজ শেষ। কিন্তু মেকআপ তোলার পর কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতেই হবে। সারাদিন বাড়ি থেকে কোথাও না গেলেও মুখ পরিস্কার প্রয়োজন। সারাদিনের তেল, ঘাম, নোংরা জমে থাকলে ত্বকের কোষ আটকে যেতে পারে। এবং তার থেকেই হবে অ্যাকনে।

আপনি কি ত্বকে সিরাম ব্যবহার করেন? দিনের সিরাম আর রাতের সিরাম কিন্তু এক নয়। দিনের বেলা যদি ভিটামিন সি সিরাম লাগান, তা হলে রাতে ব্যবহার করতে হবে রেটিনল সল্যিউশন। এই ধরনের সিরাম রাতে আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকবেন, তখন কাজ করে। সারাদিনের ক্লান্তি মুছে, পুরনো মৃত কোষের জায়গায় ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে এটি। তারুণ্য ধরে রাখতে এই ধরনের সিরাম কার্যকর।

রেটিনল বা অন্য ধরনের স্লিপিং প্যাক ত্বকে যে বদল আনে, তা বুঝতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ১ সপ্তাহ লাগালে কোনও ফারাক বুঝবেন না। ১ মাস লাগে অ্যাকনের সমস্যা মিটতে, ৩ মাস কালচে দাগ-ছোপ দূর করতে এবং প্রায় ৬ মাস লাগে বলিরেখা মেলাতে। অনেক সময় মাঝ পথেই ধৈর্য হারিয়ে মানুষ এগুলো ব্যবহার করা ছেড়ে দেন। কিন্তু অত অধৈর্য হয়ে পড়লে চলবে না। নিয়মিত ত্বকের যত্ন করে যেতে হবে।

ঘুমানোর সময়ে ত্বক নিজ থেকেই রিয়েপার ও রিবিল্ডিং হতে থাকে। ঠিক এই কারণেই, রাতের ঘুম কম হলে তার প্রভাব শুধু শরীরের উপরেই নয়, ত্বকের উপরেও দেখা দেয়। ৭ ঘন্টার কম ঘুমের ফলে ত্বকের ক্লান্তিভাব ও চোখের নিচের কালো দাগ থেকেই যায়।

নিয়মিত বিছানা ও বালিশের কভার পরিষ্কার রাখা। প্রতিদিনের ব্যবহৃত বিছানা ও বালিশে শরীরের মরা চামড়া, জীবাণু এবং বাইরের ধুলাবালি জমে থাকে। বিছানা ঝাড়া হলেও তা সম্পূর্ণ দূর হয় না। রাতভর একই বিছানা ও বালিশের কভার ত্বকের গভীরে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। যা থেকে ত্বকের খোসপাঁচড়া ও ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়।

ত্বক যদি তার প্রয়োজনীয় ভিটামিন না পায় তবে সব যত্ন ও সুরক্ষাই শেষ হয়ে যাবে । বিশেষত ত্বকের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন-সি ও বি। বিভিন্ন ধরনের ভালো মানের ক্রিমে ভিটামিনের উপস্থিতি থাকলেও, ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনের যোগান নিতে হবে প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান থেকে। ভিটামিন-সি তে পূর্ণ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।